আঃজলিল।।
প্রতিনিধিঃ করোনার প্রভাবে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অন্চলীয় খেটে খাও, দিনমজুর পরিবারে দেখা দিয়েছে আর্থিক সংকট। এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তুলনায় বিভিন্ন তরিতরকারি শাক সবজি কিনতে গিলে দ্রব মুল্যের উদ্ধগতির কারনে অনেকের পক্ষে কেনা কাটায় পার পারছেন না।
যার ফলে ঝোপঝাড়ে আগানে,বাগানে,মাঠে,ঘাটে, অযত্নে-অবহেলায় বেড়ে ওঠা বিভিন্ন জাতের ‘বুনো শাক-সবজি’র দিকে ঝুঁকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিন মুজুর পরিবারের সদস্যরা।তাইতো বর্তমান সনয়ের দরিদ্র মানুষদের কাছে সবচেয়ে বেশি কদর বেড়েছে ‘বুনো কচু শাকের’।
বুধবার (৩০শেএপ্রিল) সকালে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের কুলবাড়ীয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার এলাহি বকস মিয়ার বাড়ির পাশের ঝোপ থেকে আপন খেয়ালে কচু শাক তুলছেন নাজমা আক্তার (৩০)নামের এক মহিলা
জানা যায়, করোনার প্রভাবে দেশের দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের অনেক জেলার বেশ কিছু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে অসহায়, দিনমজুর খেটে খাওয়া পরিবারগুলোতে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। তারা খাদ্যের
সন্ধানে ছুটছেন এদিক-সেদিক। দু’বেলা অন্ন যোগাতে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, ব্যক্তি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় দরিদ্র জনগণ কিছু খেয়ে বাঁচার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছেন। তারা কষ্ট করে সামান্য চাল,ডাল,তেল,আলু,যোগার করলেও, মিলছে না শাক সবজি বা মাছ, মাংসওপ্রয়োজনীয় তরিতরকারির চাহিদা
আর বিশেষ করে তরকারির চাহিদা মেটাতে তাই তারা ঝোপঝাড়,আগান,বাগান,মাঠে,ঘাটে,বা বসতবাড়ির আশেপাশে অনাদরে-অবহেলায় বেড়ে ওঠে ঢেঁকি শাক, কলার থোর, কচু শাকসহ প্রভৃতিকেই বেছে নিয়েছেন। কারণ, এসব শাক-সবজি টাকা দিয়ে কিনতে হয় না তাদের।
নাজমাও রমেছা নামের ওই মহিলা বলেন, আমরা পরের বাড়ী শ্রম বিক্রি করে সংসার চালানো হচ্ছিল। সম্প্রতি করোনার প্রভাবে তা বন্ধ হয়ে গেছে। ঠিকভাবে দু’বেলা খাদ্য যোগাতে পারছি না।
একটু চাল সংগ্রহ করলেও তরকারি মিলছে না। তাই ঝোপে ঝাড়ে,বেড়ে ওঠা কচু শাক তুলছি। এ দিয়ে ভর্তা ও শাক রান্না বানিয়ে খাব।
জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যাবসায়ী জানান, প্রায় দুই দশক আগে মানুষের ঘরে অভাব-অনটন ছিল। সেই সময়েও বুনো সবজি খেতেন লোকজন।
এখন দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় কৃষকের উৎপাদিত সবজি কিনেই খাওয়ার সামর্থ্য হয়েছে সবার। কিন্তু করোনার প্রভাবে দেশে আবার দেখা দিয়েছে এমন সংকট। তাই নিম্ন আয়ের জনগণ আবার বুনো সবজির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।
স্থানীয় চিকিৎসক ডা.মিজানুর রহমান ওস্হানীয় রাজনৈতিক নেতা জামছেদ আলি গাজি সাংবাদিক আঃজলিকে বলেন, বুনো কচু ও শাকের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি।এটি সবার জন্য খাওয়া প্রযোজ্য।